এক বোকা লোকের শখ হলো ঘোড়ায় চরবে। কিন্তু ঘোড়া কেনার মতো অতো টাকা তার কাছে নেই। তাই সে ঠিক করলো ঘোড়া না কিনে ঘোড়ার ডিম কিনবে। সেই ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবে। এক সময় সে বাচ্চা বড় হবে। তখন সে ঘোড়ায় চরতে পারবে। এভাবে অল্প টাকাতেই একটা ঘোড়ার মালিক হতে পারবে।
কিন্তু ঘোড়ার ডিম কোথায় পাওয়া যায়? আশে-পাশের সব প্রতিবেশীকে জিজ্ঞেস করলো। কিন্তু কারো কাছেই ঘোড়ার ডিমের কোন হদিস পেলো না। অতএব, ঘোড়ার ডিমের তালাশে দেশ-বিদেশে, পাহাড়ে-জঙ্গলে, হাটে-বাজারে ঘুরে বেড়াতে লাগলো। এভাবে ঘোড়ার ডিমের তালাশ করতে করতে সে এক বিশাল হাটে এসে হাজির হলো।
এদিকে এক ঠগবাজ সাদা চুন ধরা এক পচা কুমড়ো নিয়ে হাটে এসেছে। পচা বলে কুমড়োটা বিক্রি হচ্ছিলো না। বোকা লোকটা সেই ঠগবাজের কাছেই এসে পরলো। তাকে জিজ্ঞেস করলো, "ভাই, ঘোড়ার ডিম কোথায় পাওয়া যাবে?"
ঠগবাজ, "আরে ভাই, আমি তো ঘোড়ার ডিম নিয়েই বসে আছি। "
বোকা লোক, "ঘোড়ার ডিম এতো বড়?"
ঠগবাজ, "আরে মিয়া, তুমি কি মনে করেছো ঘোড়ার ডিম মুরগীর ডিমের সমান হবে? বড় জানোয়ারের বড় ডিম; বুঝলা মিয়া?"
বোকা লোক, "কিছু মনে করবেন না, ভাই। আমি তো আগে কোন দিন ঘোড়ার ডিম দেখিনি তাই বুঝতে পারিনি। এটার দাম কতো, ভাই?"
ঠগবাজ, "ম্যালা টাকা। কিন্তু এতো টাকা তোমার কাছে আছে?"
বোকা লোক ট্যাক বের করে বলল, "ভাই, আমার কাছে এর বেশি টাকা নেই। "
ঠগবাজ, "ঠিক আছে যা আছে তাই দাও। তোমার যখন এতো শখ। "
বোকা লোক, "কিন্তু এই ডিম ফুটে কিভাবে-কখন ঘোড়ার বাচ্চা বের হবে?"
ঠগবাজ, "খুব সাবধানে এই ডিম নাড়াচাড়া করবা, মিয়া। সব সময় মাথায় রাখবা যেন ভেঙ্গে না যায়। আর সব সময় এর দিকে খেয়াল রাখবা। খুব তেজি ঘোড়ার ডিম। তাই বাচ্চা ফুটে বের হয়েই দৌড় লাগাবে।"
বোকা লোকটি সেই ডিম কিনে মাথায় করে হেটে বাড়ির পথ ধরলো। এদিকে খুব গরম পরেছে। পথে চলতে চলতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে সে এক গাছের নিচে ঘুমিয়ে পরলো। এদিকে পচা কুমড়োটা ভ্যাপসা গরমে আরো পচে এক সময় সজোরে শব্দ করে ফেটে গেলো।
সেখানে এক হরিণ ঘাস খাচ্ছিলো। সেই শব্দে হরিণটা ভয়ে দৌড় দিলো। আর তখনই বোকা লোকটার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। তখন হরিণটাকে ঘোড়ার বাচ্চা ভেবে সে হরিণটার পিছনে দৌড়াতে লাগলো। কিন্তু হরিণকে কি আর দৌড়ে ধরা যায়?
অগত্যা সে এক সময় ক্লান্ত হয়ে ঘোড়ার বাচ্চা অর্থাৎ হরিণ ধরা বাদ দিয়ে বাড়ির পথ ধরলো। এলাকায় গিয়ে যখন সে ঘটনা বললো তখন সবাই ভাবলোঃ আগে থেকেই তো সে আধা পাগল ছিল ঘোড়ার ডিম তাকে পুরোই পাগল বানিয়ে ছেড়েছে।
কিন্তু ঘোড়ার ডিম কোথায় পাওয়া যায়? আশে-পাশের সব প্রতিবেশীকে জিজ্ঞেস করলো। কিন্তু কারো কাছেই ঘোড়ার ডিমের কোন হদিস পেলো না। অতএব, ঘোড়ার ডিমের তালাশে দেশ-বিদেশে, পাহাড়ে-জঙ্গলে, হাটে-বাজারে ঘুরে বেড়াতে লাগলো। এভাবে ঘোড়ার ডিমের তালাশ করতে করতে সে এক বিশাল হাটে এসে হাজির হলো।

ঠগবাজ, "আরে ভাই, আমি তো ঘোড়ার ডিম নিয়েই বসে আছি। "
বোকা লোক, "ঘোড়ার ডিম এতো বড়?"
ঠগবাজ, "আরে মিয়া, তুমি কি মনে করেছো ঘোড়ার ডিম মুরগীর ডিমের সমান হবে? বড় জানোয়ারের বড় ডিম; বুঝলা মিয়া?"
বোকা লোক, "কিছু মনে করবেন না, ভাই। আমি তো আগে কোন দিন ঘোড়ার ডিম দেখিনি তাই বুঝতে পারিনি। এটার দাম কতো, ভাই?"
ঠগবাজ, "ম্যালা টাকা। কিন্তু এতো টাকা তোমার কাছে আছে?"
বোকা লোক ট্যাক বের করে বলল, "ভাই, আমার কাছে এর বেশি টাকা নেই। "
ঠগবাজ, "ঠিক আছে যা আছে তাই দাও। তোমার যখন এতো শখ। "
বোকা লোক, "কিন্তু এই ডিম ফুটে কিভাবে-কখন ঘোড়ার বাচ্চা বের হবে?"
ঠগবাজ, "খুব সাবধানে এই ডিম নাড়াচাড়া করবা, মিয়া। সব সময় মাথায় রাখবা যেন ভেঙ্গে না যায়। আর সব সময় এর দিকে খেয়াল রাখবা। খুব তেজি ঘোড়ার ডিম। তাই বাচ্চা ফুটে বের হয়েই দৌড় লাগাবে।"
বোকা লোকটি সেই ডিম কিনে মাথায় করে হেটে বাড়ির পথ ধরলো। এদিকে খুব গরম পরেছে। পথে চলতে চলতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে সে এক গাছের নিচে ঘুমিয়ে পরলো। এদিকে পচা কুমড়োটা ভ্যাপসা গরমে আরো পচে এক সময় সজোরে শব্দ করে ফেটে গেলো।
সেখানে এক হরিণ ঘাস খাচ্ছিলো। সেই শব্দে হরিণটা ভয়ে দৌড় দিলো। আর তখনই বোকা লোকটার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। তখন হরিণটাকে ঘোড়ার বাচ্চা ভেবে সে হরিণটার পিছনে দৌড়াতে লাগলো। কিন্তু হরিণকে কি আর দৌড়ে ধরা যায়?
অগত্যা সে এক সময় ক্লান্ত হয়ে ঘোড়ার বাচ্চা অর্থাৎ হরিণ ধরা বাদ দিয়ে বাড়ির পথ ধরলো। এলাকায় গিয়ে যখন সে ঘটনা বললো তখন সবাই ভাবলোঃ আগে থেকেই তো সে আধা পাগল ছিল ঘোড়ার ডিম তাকে পুরোই পাগল বানিয়ে ছেড়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন