করিম সাহেব ছোটখাট একটা
সরকারী চাকুরি করেন।
মাইনে যা পান তা
দিয়ে কোন মতে সংসার
চলে। তার
ছেলের জন্য গৃহশিক্ষক রাখার
মত আর্থিক সামর্থ্য তার
নেই। তাই
তিনি নিজেই প্রতি দিন
সকালে ছেলেকে পড়াতে বসেন।
একদিন সকালে তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি তার বাড়িতে বেড়াতে
আসল। সেদিনও যথারীতি
ছেলেকে পড়াতে বসলেন।
পড়ানোর সময় হঠাৎ তার
ছেলে জিজ্ঞাসা করল, "আব্বা, রাজনীতি কাকে
বলে?" তখন তিনি বললেন,
"বাবা, রাজনীতি তো অনেক জটীল
ব্যাপার, তোমাকে কিভাবে বোঝায়?"
কিছুক্ষন ভেবে তিনি বললেন, "আচ্ছা, ধর আমি সরকার, তোমার মা দেশ, তুমি হচ্ছ জনগন, আর তোমার নানা-নানি হচ্ছে নেতা-নেতৃ।" এমন সময় করিম সাহেবের স্ত্রী তাকে বাজারে যেতে বলল। তখন তিনি ছেলেকে বললেন, "বাবা, আমি বাজার থেকে এসে বাকিটা তোমাকে বোঝাব।" ছেলে বলল, "ঠিক আছে।"
কিছুক্ষন ভেবে তিনি বললেন, "আচ্ছা, ধর আমি সরকার, তোমার মা দেশ, তুমি হচ্ছ জনগন, আর তোমার নানা-নানি হচ্ছে নেতা-নেতৃ।" এমন সময় করিম সাহেবের স্ত্রী তাকে বাজারে যেতে বলল। তখন তিনি ছেলেকে বললেন, "বাবা, আমি বাজার থেকে এসে বাকিটা তোমাকে বোঝাব।" ছেলে বলল, "ঠিক আছে।"
করিম সাহেবের টানাটানির সংসার। এদিকে
তার স্ত্রী তাকে মাছ-মাংস সহ দামি
দামি বাজারের ফরমাশ দিয়েছে। কারণ তার বাবা-মা
এসেছেন। কিন্তু
এগুলো কেনার সামর্থ্য তার
নেই। যাই
হোক, তার সাধ্যের ভিতর
ভালমন্দ বাজার করে বাড়িতে
ফিরে আসলে তার স্ত্রী
বাজার দেখে তেলে বেগুনে
জ্বলে ওঠল।
লাগল স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ। এক পর্যায়ে করিম সাহেব আর রাগ সামলাতে পারলেন না। স্ত্রীকে পিটাতে লাগলেন।
লাগল স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ। এক পর্যায়ে করিম সাহেব আর রাগ সামলাতে পারলেন না। স্ত্রীকে পিটাতে লাগলেন।
সবাই
চেয়ে চেয়ে দেখল।
তার ছেলের তো কিছুই
করার নেই, বলারও নেই। আর
তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ব্যাপারটা
দেখেও না দেখার ভান
করে থাকল।
পরদিন
সকালে করিম সাহেব ছেলেকে
পড়াতে বসে বললেন, "কালকে
তো তোমাকে রাজনীতি শেখাতে
পারিনি তাই এখন আস
তোমাকে রাজনীতি শেখায়। ছেলে
বলল, "বাবা, আমি গতকালকেই
রাজনীতি শিখে গেছি।"
করিম সাহেব চমকে গিয়ে
বললেন, "তাই নাকি? বলত দেখি
তুমি কী শিখেছ?"
ছেলে তখন বলল, "আব্বা,
যে নীতির দ্বারা সরকার
দেশের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন
করে, নেতা-নেতৃ দেখিয়াও
না দেখার ভান করে
আর জনগনের কিছুই বলার
থাকেনা সেই নীতিকে বলে
রাজনীতি।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন