রাজা
কোন
ভাবেই
গোপাল
ভাঁড়কে
জব্দ
করতে
পারেনা। তাই
রাজা
ভাবতে
থাকে
আর
সুযোগ
খঁজতে
থাকে।
একরাতে
রাজা
একটি
স্বপ্ন
দেখল।
রাজা
চিন্তা
করল
এ
স্বপ্নের কথা
বলেই
গোপাল
ভাঁড়কে
ভালমত
জব্দ
করা
যাবে।
পরের দিন সকালে
গোপাল
ভাঁড়
রাজদরবারে আসলে
তাকে
রাজা
বলল,
'গোপাল,
গত
রাতে
আমি
জব্বর
একটা
স্বপ্ন
দেখেছি।' গোপাল
ভাঁড়
জিজ্ঞাসা করল,
'কী
স্বপ্ন
দেখেছেন? শুনি
তো
আপনার
স্বপ্নের কথা।"
রাজা
বলল,
'গত
রাতে
স্বপ্নে দেখি
তুমি
আর
আমি
ঘুরতে
বেড়িয়েছি। ঘুরতে
ঘুরতে
হারিয়ে
গেছি।
শেষমেষ এমন জায়গায়
আমরা
হাজির
হয়েছি
যেখান
থেকে
ফিরে
আসতে
হলে
মাত্র
এক
হাত
চওড়া
একটা
রাস্তা
দিয়ে
আসতে
হবে।
কিন্তু
সমস্যা
হচ্ছে
সেটা
খুব
পিচ্ছিল এবং
এর
ডানদিকে ক্ষীরের পুকুর
আর
বামদিকে গুয়ের
পুকুর।
অগত্যা
সেটা
দিয়ে
হাঁটতে
লাগলাম
আমরা।
হাঁটতে
হাঁটতে
যেয়ে
হঠাৎ
আমরা
দুজনেই
পিছলে
পড়ে
গেলাম।
কিন্তু
তুমি
পড়লা
গুয়ের
পুকুরে
আর
আমি
পড়লাম
ক্ষীরে
পুকুরে। তারপরেই আমার
ঘুম
ভেঙ্গে
গেল।
গোপাল ভাঁড় কিছুক্ষন চুপ
করে
থাকল।
তখন
রাজা
মুচকি
মুচকি
হাসে
আর
মনে
মনে
ভাবে
যাক
এবার
তাহলে
গোপাল
ভাঁড়কে
জব্দ
করতে
পেরেছি।
একটু পরেই গোপাল
ভাঁড়
বলল,
'রাজা
মশাই,
গতরাতে
আমিও
ঠিক
একই
স্বপ্ন
দেখেছি। দুঃখের
বিষয়
আপনি
পুরো
স্বপ্নটা দেখেননি কিন্তু
আমি
দেখেছি। রাজা
জিজ্ঞাসা করল,
'বলত
শুনি
তুমি
শেষ
পর্যন্ত কী
দেখেছ?'
গোপাল ভাঁড় বলল,
'রাজা
মশাই,
এরপর
আমরা
দুজনেই
পুকুর
থেকে
কোন
মতে
সাঁতরে
পারে
ওঠলাম।
তারপর
হাঁটতে
মুরু
করলাম।
কিছুক্ষন পরেই
আমাদের
শরীরের
মল
ও
ক্ষীর
শুকিয়ে
আমাদের
সারা
শরীর
চটচট
করতে
লাগল।
কিন্তু
গোসল
তো
দুরের
কথা
শরীরটা
যে
পরিস্কার করব
তার
জন্য
একটুও
পানি
খুঁজে
পাওয়া
যাচ্ছেনা। এভাবে
আর
কতক্ষন। শেষ
পর্যন্ত রাজা
মশাই
আপনিই
প্রস্তাব দিলেন,
এসো
গোপাল
আমরা
একে
অপরের
গা
জিহ্বা
দিয়ে
চেটে
পরিস্কার করে
দেই।
অতঃপর
আমরা
তাই
করলাম।'
একথা শুনে রাগে,
লজ্জায়
রাজার
কান
গরম
হয়ে
গেল।
কিন্তু
কি
আর
করা
শুরুটা
তো
তিনিই
করেছিলেন। গোপাল
ভাঁড়কে
জব্দ
করতে
যেয়ে
উল্টো
নিজেই
শক্তভাবে জব্দ
হলেন
আরো
একবার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন