রাজকুমারের বিরাট ব্যারাম হয়েছে। কোন কবিরাজ, বদ্যি তাকে সারিয়ে তুলতে পারছে না।
শেষ পর্যন্ত এক জ্ঞানী হেকিম রাজাকে পরামর্শ দিল, "রাজা মশাই, আসলে কোন অষুধ-পথ্যে রাজকুমারের অসুখ সারবে না। তার জন্য দরকার ভিন্ন ধরণের চিকিৎসা।"
রাজা জিজ্ঞেস করলেন, "কি সেই চিকিৎসা?"
হেকিম বললেন, "রাজপ্রাসাদের পাশে বিরাট এক দিঘি খুরতে হবে। তারপর সেই দিঘি একরাতেই দুধ দিয়ে ভরে দিতে হবে। আর ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠেই রাজকুমারকে সেই দুধের দিঘিতে গোসল করতে হবে। তাহলেই রাজকুমারের অসুখ সেরে যাবে।"
রাজ্যে হইচই পরে গেল। হেকিমের কথা মতো রাজপ্রাসাদের পাশেই বিরাট এক দিঘি খোঁড়া হলো। কিন্তু রাজা ভাবল, "বাবারে, এত বড় দিঘি দুধ দিয়ে ভরতে গেলে তো আমার অনেক খরচ হয়ে যাবে, রাজকোষে টান পরবে। তার চাইতে অন্যভাবে দুধের ব্যবস্থা করা হোক।"
যেই ভাবা সেই কাজ। রাজার আদেশে রাজ্যে ঢোল পিটিয়ে দেয়া হলো, "এ রাজ্যের প্রতিটি বাড়ি থেকে যেন এক বালতি করে দুধ আজ রাতের মধ্যে ঐ সদ্য খোঁড়া দিঘিতে ফেলা হয়। রাজার আদেশ অমান্য করলে গর্দান যাবে।"
এক গরীব প্রজা ভাবলো, "সবাই তো দুধ দিবে; কিন্তু আমি একা যদি দুধের বদলে এক বালতি পানিই দিই তাহলে রাতের আঁধারে কেউ আমাকে ধরতে পারবে না আর পরের দিনও কেউ কিছুই বুঝবে না।" তাই সে ঠিক করলো সে দুধ দিবে না; এক বালতি পানিই দিবে।
আসলে সেই যে একাই এটা ভাবছে তাই না। রাজ্যের সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে একই কথা ভাবছে।
এদিকে রাজা সাড়া রাত টেনশনে ঘুমাতে পারলেন না। ভোর হতেই রাজা মশাই, উজির, নাজির, সেনাপতি, সেপাই, স্যাকরা, ফ্যাকরা সবাইকে নিয়ে দিঘির পারে গিয়ে হাজির হলেন তীব্র কৌতুল নিয়ে। কিন্তু একি? দুধের বদলে স্বচ্ছ টলটলে পানিতে দিঘি থৈ থৈ করছে!
তখন রাজা রাগে গজরাতে লাগলেন; আর মনে মনে বললেন, "আসলে আমি যেমন স্বার্থপর, তেমন আমার প্রজারাও ফাঁকিবাজ।"
শেষ পর্যন্ত এক জ্ঞানী হেকিম রাজাকে পরামর্শ দিল, "রাজা মশাই, আসলে কোন অষুধ-পথ্যে রাজকুমারের অসুখ সারবে না। তার জন্য দরকার ভিন্ন ধরণের চিকিৎসা।"
রাজা জিজ্ঞেস করলেন, "কি সেই চিকিৎসা?"
হেকিম বললেন, "রাজপ্রাসাদের পাশে বিরাট এক দিঘি খুরতে হবে। তারপর সেই দিঘি একরাতেই দুধ দিয়ে ভরে দিতে হবে। আর ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠেই রাজকুমারকে সেই দুধের দিঘিতে গোসল করতে হবে। তাহলেই রাজকুমারের অসুখ সেরে যাবে।"
রাজ্যে হইচই পরে গেল। হেকিমের কথা মতো রাজপ্রাসাদের পাশেই বিরাট এক দিঘি খোঁড়া হলো। কিন্তু রাজা ভাবল, "বাবারে, এত বড় দিঘি দুধ দিয়ে ভরতে গেলে তো আমার অনেক খরচ হয়ে যাবে, রাজকোষে টান পরবে। তার চাইতে অন্যভাবে দুধের ব্যবস্থা করা হোক।"

এক গরীব প্রজা ভাবলো, "সবাই তো দুধ দিবে; কিন্তু আমি একা যদি দুধের বদলে এক বালতি পানিই দিই তাহলে রাতের আঁধারে কেউ আমাকে ধরতে পারবে না আর পরের দিনও কেউ কিছুই বুঝবে না।" তাই সে ঠিক করলো সে দুধ দিবে না; এক বালতি পানিই দিবে।
আসলে সেই যে একাই এটা ভাবছে তাই না। রাজ্যের সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে একই কথা ভাবছে।
এদিকে রাজা সাড়া রাত টেনশনে ঘুমাতে পারলেন না। ভোর হতেই রাজা মশাই, উজির, নাজির, সেনাপতি, সেপাই, স্যাকরা, ফ্যাকরা সবাইকে নিয়ে দিঘির পারে গিয়ে হাজির হলেন তীব্র কৌতুল নিয়ে। কিন্তু একি? দুধের বদলে স্বচ্ছ টলটলে পানিতে দিঘি থৈ থৈ করছে!
তখন রাজা রাগে গজরাতে লাগলেন; আর মনে মনে বললেন, "আসলে আমি যেমন স্বার্থপর, তেমন আমার প্রজারাও ফাঁকিবাজ।"